নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার-৩ (সদর,রামু ও ঈদগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ারের অনুসারীরা তাঁর প্রচারণায় প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি। এইসময় অভিযোগ হিসেবে তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ।
সংবাদ সম্মেলনে মিজান সাঈদ বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা আমার প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন। এ ছাড়া আমার সমর্থকদের ওপর হামলা, তাঁদের এলাকাছাড়া করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাইমুম সরওয়ারের অনুসারীদের বাধায় তিনি প্রচারণা চালাতে পারছেন না।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মিজান সাঈদ বলেন, “সাইমুম সরওয়ার দুইবারের সংসদ সদস্য। এলাকায় তাঁর প্রভাব রয়েছে। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হয়তো এবারও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন। সাইমুমের তুলনায় আমি দুর্বল প্রার্থী। কিন্তু এরপরও তাঁর (সাইমুম) মনে অজানা আতঙ্ক কাজ করছে। ভোটারের ওপর তিনি আস্থা রাখতে পারছেন না। নিশ্চিত পরাজয়ের শঙ্কায় তিনি (সাইমুম) প্রতিদ্বন্দ্বীদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন“।
ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার বলেন, “সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। ঈগল প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই“।
জানা যায়, গতকাল বুধবারও রামুর কাউয়ারকোপ এলাকায় সাইমুমের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। নৌকা সমর্থকের কর্মী নবী হোসেন নামক একজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। আগের দিন রামুর মৌলভিকাটায় প্রচারণা চালানোর অটোরিকশাতে হামলা চালানো হয়েছে। গত মঙ্গলবারও ৭টি মোটরসাইকেলে ১৪ জন রামুর ফতেখাঁরকুলে গিয়ে ওই গ্রামের লোকজনকে নির্বাচনের পর ভিটেছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন।