কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক:  কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কক্সবাজারের আদালত।

এ মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, আসামিরা বাদীর স্বাক্ষর এবং নথি জাল করে নিজেদের নাম কেটে দেওয়ার মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত। অন্যান্য আসামিরা হলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।

কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ ২৩ জানুয়ারি এই নির্দেশ দেন। সরকারি কৌঁসুলি সিরাজ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্তে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণের পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তের সময়, সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠানোর ঘটনা ঘটে, যা জালিয়াতি হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পর কায়সারুল ইসলাম পুনরায় মামলা দায়ের করলে, রুহুল আমিন এবং সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ আরও সাতজনকে আসামি করা হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে জানা যায়, মামলার নথিতে ২০১৪ সালে চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়ি এবং অন্যান্য অবকাঠামো অধিগ্রহণের জন্য মোট ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এছাড়াও, কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।

এই মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। এর আগে, দুদক বিভিন্ন আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top