চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জশনে জুলুসে গাড়ি বহরে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে পানি নিক্ষেপের অভিযোগ ও মাদ্রাসার সামনে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে কওমী ও সুন্নীপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তেজনা প্রশমনে হাটহাজারী সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অশোভন অঙ্গভঙ্গির ঘটনায় হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় টায়ার জ্বালানো ও বাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এতে করে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাটহাজারী বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মোহাম্মদ সেলিম নামে একজন বাসচালকও গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে।
এর আগে, সকালে জশনে জুলস নিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে আসার সময় ফটিকছড়ি মাদ্রাসা ভবন থেকে পানি নিক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে। এর জের ধরে জশনে জুলস শেষে ফেরার পথে মাদ্রাসার সামনে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলেন আরিয়ান ইব্রাহীম। পরে সেই ছবি তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিলে কওমি মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তাকে পৌর সদর থেকে আটক করে। আটক হওয়ার পর তিনি ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশও করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউসার মাহমুদ বলেন, জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে কওমী ও সুন্নিপন্থীদের মধ্যে কিছু ঘটনার জেরে উত্তেজনা চলছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৪ ধারা জারি করেন। আগামীকাল (রোববার) বিকেল তিনটা পর্যন্ত হাটহাজারী সদরে এ ধারা বহাল থাকবে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ