চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পরিচ্ছন্নতা কাজে গতি আনতে নগরের জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাজিরা নিচ্ছিলেন মেয়র শাহাদত হোসেন। এসময় মেয়রকে সহযোগিতার পরিবর্তে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছিলেন ওয়ার্ড সচিব পারভেজ কবির। এতে মেয়র রেগে যোন। সামনে ডেকে নিয়ে মেয়র বলেন, ‘তুমি ওখানে গেছ কেন? এদিকে আসো। মাস্তান হয়ছো মিয়া? থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব একদম। বেয়াদব তুমি। আমাকে চেন তুমি? ফাঁকিবাজ।’
এ সময় মেয়র ওয়ার্ড সচিবকে অন্য ওয়ার্ডে বদলি করতে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীকে নির্দেশ দেন। বলেন, ‘ওকে চেঞ্জ করে দেন, অন্য ওয়ার্ডে দেন। গাদ্দারি! এখন পর্যন্ত সে বেয়াদবি করছে। থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব ওর।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর হেমসেন লেনের মুখে জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয় প্রাঙ্গনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের হাজিরা প্রসঙ্গে মেয়র শাহাদাত বলেন, হাজিরা আমি এজন্য দেখছি যে তারা ঠিকমতো আসে কি না। যদি এখানে কেউ না আসে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি আসার পরও যদি তারা না আসে তাহলে বুঝতে হবে তারা ফাঁকিবাজি করছে। এখানের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে। জনগণ যদি বলে সে করছে তাহলে করছে। আর যদি বলে সে কাজ করছে না, তাহলে ফাঁকিবাজি করছে।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জন্ম সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র নিতে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া হয় সেটা আমি হুঁশিয়ার করে দিয়েছি সবাইকে। জন্ম সনদ করতে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৫০ টাকার অধিক কেউ দেবেন না। অনেকের কাছ থেকে নাকি ১০০ ও ২০০ টাকা নিচ্ছে। এ রকম কেউ নিলে আপনারা আমাকে জানাবেন।’
এতে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, চসিক মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ