চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দিন দশেক আগে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামে পরিণত করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক ক্রীড়াবিদ ও রাজনীতিবিদরা। নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামকে সব ধরনের খেলাধুলা চর্চার কেন্দ্র উল্লেখ করে একে শুধু ফুটবলে সীমাবদ্ধ না রাখার আহ্বান জানান তারা।
এসব বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে শুধু ফুটবল খেলা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে মাঠটি বরাদ্দ প্রদান করা হলে অন্যান্য খেলার লিগ ও টুর্নামেন্ট এবং এই সব ইভেন্টের অনুশীলন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলতে যত দেশি, বিদেশি ক্রিকেট দল চট্টগ্রামে আসে, তাদের অনুশীলনের ভেন্যু হয় এই স্টেডিয়াম। ক্রিকেট অনুশীলন বন্ধ হলে চট্টগ্রামে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতাকে আমরা স্বাগত জানাই। চট্টগ্রামে এর প্রয়োজনও রয়েছে। তবে এ ধরনের স্টেডিয়াম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠ, জংগল সলিমপুর কিংবা কর্ণফুলী টানেলের অপর প্রান্তে স্থাপিত হলে ফুটবলের পাশাপাশি সব ধরনের খেলাধুলার চর্চায় তা সহায়ক হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহর কর্ণফুলী নদীর অপর তীরে বিস্তৃত হবে।
এম এ আজিজ স্টেডিয়াম শুধু ফুটবলকেন্দ্রিক হলে অন্যান্য খেলাধুলার চর্চা বিঘ্নিত হবে এবং অন্যান্য ইভেন্টের খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফসহ প্রায় ৭ হাজারের অধিক পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে গত বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, খোখো, ভলিবল, কাবাডি, রাগবি আর্চারিসহ প্রায় ৩০টি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত সব ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই স্টেডিয়ামে।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি হাফিজুর রহমান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এ সিদ্ধান্তকে চট্টগ্রামের ‘ক্রীড়াঙ্গনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম হিসেবে তৈরির জন্য ১২ শর্তে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে ‘লিজ’ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গত ২ জানুয়ারি এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ বছরের জন্য ওই মাঠ বরাদ্দ পেয়েছে বাফুফে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ