চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যায় দায়ে গ্রেপ্তারকৃত জোবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি পুলিশ। এছাড়া আজিমকে হত্যার পর খণ্ডিত মরদেহ গুম করতে ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটন করতে সিআইডির নজরে এক অ্যাপ ক্যাব চালকের ওপর। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার ও সংবাদ প্রতিদিন এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, আনোয়ারুল হত্যার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আনোয়ারুলের মোবাইল ফোনে শেষবার যে ফোন কল এসেছিল তার লোকেশন ছিল উত্তরপ্রদেশ। খুনের পর সবাইকে বিভ্রান্ত করতেই তাঁর মোবাইলটি উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সন্দেহ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এবার প্রকাশ্যে এসেছে আনোয়ারুলের শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ।
‘বিশেষ কাজে দিল্লি পৌঁছালাম। আমাকে তোমাদের ফোন করার দরকার নেই। আমিই ফোন করে নেব’ – গোপাল বিশ্বাস, নিজের মেয়ে ও আপ্ত সহায়ককে একসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন আনোয়ারুল। এই মেসেজ ও মোবাইলের শেষ কল ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে রহস্য।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে ওই ক্যাবে চড়ে সন্দেহজনক কয়েকজনকে ভবন ছাড়তে দেখা যায়। তাঁদের খবর সংগ্রহ করতেই সেই ক্যাবের চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। ওই ক্যাবে কারা ছিলেন? কখন ক্যাব ভাড়া করা হয়? কোথায় তাঁদের নামানো হয়? ক্যাবে থাকাকালীন যাত্রীরা কী বলছিলেন? তাঁদের সঙ্গে কী কী ছিল সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সিআইডি।
এমপি আনোয়ারুল আজিমকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। গত ১৩ মে নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয় আজিমকে। এরপর সেই মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তিন দিন ধরে বডির পার্ট সরানো হয়।
তবে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেকেকে এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করেছে।
গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন এমপি আনার। পরে আরও তিনজন সেখানে যায়। তাদের মধ্যে দুজনকে ১৪ মে সকালে একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বের হতে দেখা যায়। ওই দিন বিকেলের দিকে বেরিয়ে যান আরও একজন, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ছবি। কিন্তু ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা গেলেও আনারকে বের হতে দেখা যায়নি। পারিপার্শ্বিক এ তথ্যপ্রমাণ থেকেই পুলিশ খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস