চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হত্যার পর টুকরো টুকরো লাশের অংশ বহন করা গাড়িচালকের দেওয়া তথ্যমতে, লাশের টুকরোগুলোর মধ্যে কিছু অংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড় এলাকার কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। জিরানগাছাতেও ফেলা হয়েছে দেহাংশ। এসব জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের সিআইডি।
সম্প্রতি আনোয়ারুল আজীম আনারকে বহন করে লাল গাড়ি ও খুন হওয়ার পর লাশের টুকরো বহন করা সন্দেহে আরেকটি সাদা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। দুটি গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করছে কলকাতা পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ১৩ মে এমপি আনার এক নারী ও দুই পুরুষের সঙ্গে কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাকুইটিকা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর তাকে বের হতে দেখা যায়নি।
গত ১৩ ও ১৫ মের মধ্যে ওই নারী এবং দুই পুরুষকে বাড়িটি থেকে একাধিকবার বের হতে দেখা গেছে। তাদের দুজনকে বড় বড় ব্যাগ হাতে নিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। ব্যাগ নিয়ে তারা যে গাড়িতে উঠেছিলেন, সেটা ছিল উবারের ভাড়া করা গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গাড়ির রঙ সাদা।
সূত্র বলছে, আনার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে খুন করা হয়। প্রথমেই আনারের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মরদেহের পচন ঠেকাতে মরদেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর মরদেহের টুকরোগুলোতে হলুদ মেশানো হয়।
পরে খুনিদের সুবিধামতো লাশের টুকরোগুলোর মধ্যে কিছু অংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড় এলাকার কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। কিছু অংশ কলকাতার একটি খালে এবং কিছু অংশ ফেলা হয়েছে জিরানগাছাতে। এসব জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। একই সঙ্গে তল্লাশি চালাবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফও।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস