এবার ১৬টি কোরবানির পশুর হাট বসাতে চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এবার চট্টগ্রামে গতবারের চেয়ে পশুর মজুত কম। অথচ মজুত কম সত্ত্বেও এবার বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি হাট বসানোর অনুমোদন চেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার সংস্থাটি ১৬টি পশুর হাট বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে।

এবার কেন এত বেশি পশুর হাট বসাতে চায় সিটি কর্পোরেশন? এর পেছনে কারণ কি? নিজস্ব স্থায়ী তিনটি হাট থাকা সত্ত্বেও কাদের স্বার্থে বেশি হাট বসাতে চাইছে সংস্থাটি- এমন নানা প্রশ্ন জনমনে উঁকি দিতে শুরু করেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার চট্টগ্রামে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা আছে আট লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। তবে পশু আছে আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি। চাহিদার তুলনায় ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশুর মজুত কম রয়েছে।

চসিক থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে চসিকের পক্ষ থেকে ১২টি হাট বসানোর অনুমতি চাওয়া হলেও জেলা প্রশাসন তাদেরকে সাতটির অনুমতি দিয়েছিল। ২০২৩ সালে ২৩টির অনুমতির চাইলেও সেবার চসিক পেয়েছিল নয়টি। গতবছর ২০২৪ সালে ১২টি পশুর হাটের অনুমতি চাওয়া হলে চসিককে সাতটির অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। আর এবার ১৬টি হাটের অনুমতি চেয়ে কয়টি পায় সেটাই দেখার বিষয়।

চসিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে পহেলা জিলহজ্ব থেকে ১০ দিনের জন্য অস্থায়ী হাটগুলো বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে চসিকের। তাই ১৬টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত ১৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে চসিক।

তবে চসিকের বর্তমানে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে নগরে। এগুলো হলো- সাগরিকা পশুর হাট, মুরাদপুর বিবিরহাট পশুর হাট ও কদমতলী পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বলেন, প্রতি বছর অস্থায়ী পশুর হাটের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর নগরীতে অনেক জায়গায় অনেক কোরবানির হাট বসে। বিভিন্ন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক বা নানা প্রভাব খাটিয়ে এসব করে থাকে। এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। এগুলো থেকে সিটি কর্পোরেশন কোন রাজস্ব পায় না। সে পরিস্থিতির মধ্যে জেলা প্রশাসন যদি আমাদের প্রস্তাবিত হাটগুলোর অনুমোদন দেয় তাহলে সরকারেরও রাজস্ব আয় হবে। হাটের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি স্টেট বিভাগ তত্ত্বাবধান করে থাকেন। জেলা প্রশাসনের চিঠি পেলে তারপর ইজারা কার্যক্রমের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোরবান উপলক্ষে ১০ দিনের জন্য অস্থায়ী হাট বসানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনের চিঠিটি এখনো আমরা পাইনি। আমি আজ অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। আশা করছি দ্রুত সময়ে আমরা অনুমোদনের চিঠি পেয়ে যাবো।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ

Scroll to Top