চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করেছে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ১২নং খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব খৈইয়াছড়া গ্রামের ভেন্ডরপাড়া এলাকার কলিমুল্লাহ ভেন্ডর বাড়ি মোহাম্মদ হানিফের ঘরে দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের সদস্যকে জিম্মি করে ঘরের কর্তা হানিফকে গামছা দিয়ে হাত মুখ ও চোখ বেঁধে রাখে। এরপর মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হানিফ জানান, রাতে পরিবারের সদস্যরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লে দরজার বাইরে শব্দ শুনতে পাই। সামনের কক্ষের লাইট জ্বালিয়ে খেয়াল করি দরজার বাইরে কেউ চলাচল করছে। রড দিয়ে দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করছে। আমরা তখন ডাকাত ডাকাত বলে শোরচিৎকার করতে থাকি।
এরমধ্যেই দ্রুত মুখে মুখোশ ও পরনে শর্ট প্যান্ট পড়া ডাকাতদল ঘরে ঢুকে আমাদের জিম্মি করে। আমাকে রড দিয়ে আঘাত করে।
হানিফ আরো জানান, পরবর্তীতে ডাকাতদলের সদস্য গামছা দিয়ে আমার চোখ হাত পা বেঁধে ফেলে। আমার স্ত্রী থেকে আলমিরার চাবি নিয়ে নেয়। তাদের ঘাড়ে দেশীয় অস্ত্র ধরে রাখে। আমার ছোট বাচ্চাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা আমার ঘরে থাকা ৩টি মুঠোফোন, আনুমানিক ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ঘরের ভেতর ৬ জন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। আমি পুলিশের টিম পাঠায়েছি। আমরা খৈইয়াছড়া ইউনিয়নে আলাদা টিম রেখেছি পুলিশের। আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি ডাকাত নিয়ন্ত্রণে।
উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা। গত কয়েক মাসে সবচেয়ে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে থাকা বিভিন্ন এলাকায়। ডাকাতির কার্যক্রম শেষ করে মহাসড়ক ধরে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ






