চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বৃষ্টি ও কোটাবিরোধী ‘বাংলা ব্লকেড’ অজুহাত দেখিয়ে ফের নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। এসব অজুহাতে সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়ানো হয়েছে ডাল, আলু ও ডিমসহ সকল পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের বকশির হাট, কাজীর দেউড়ি, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৫ টাকার প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, গত সপ্তাহের ১৩৫ টাকা কেজি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় এবং ১৪০ টাকা ডজন ফার্মের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা, যা আগে ১৬০-১৮০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০-১০০ টাকা ছিল।
বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮০-২০০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২২০-২৫০, গাজর ২০০-২১০, শসা ১০০-১১০, বেগুন ১০০-১১০ ও পটল ৫০-৫৫ টাকায়। এছাড়াও আদা ৩২০, রসুন ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গত সপ্তাহের ৫০ টাকার পেঁপে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি কেজি করলার দাম ৬০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহ আগের ১৭০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা ও চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নেই। একেক সময় একেক অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে তারা। সাধারণ ক্রেতাদের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।
বকশির হাটের খুচরা বিক্রেতা রিদওয়ানুল বলেন, বৃষ্টিতে খেতের নেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া কাদার কারণে মাঠ থেকে সবজি সরবরাহ কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের কারণে পরিবহণ ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। ফলে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ