এক ব্যক্তিকে চার ওয়ারিশ সনদ! মামলা খেলেন বৈলতলীর চেয়ারম্যানসহ ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে একই ব্যক্তিকে দুই ধরণের ওয়ারিশ সনদ দিয়ে মামলা খেলেন বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সায়েমসহ ৫ জন।

অভিযোগ রয়েছে, বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সায়েমের কাছ থেকে আবুল হোসেন নামীয় ওয়ারিশ বলে ভিন্ন ভিন্ন দুটি সনদ বানিয়ে এবং তা ব্যবহার করে ধোপাছড়ির জনৈক মোছলেমা খাতুন (৫৫), সাজ্জাদ হোসেন টিপু (৪২) সম্পত্তির খতিয়ান নামজারি করেন।

এমন একটি ঘটনায় মৃত আবুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে জ্যাম্বীল হোসেন চৌধুরী (৪৫) বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সদস্য ও দুইজন জালিয়াতকারীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে এনে তদন্তের জন্য পিবিআই’র কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে একই ইউনিয়নের দুই মেয়াদে আরও দুই চেয়ারম্যান থেকেও মৃত আবুল হোসেন চৌধুরীর নামে দুটি ওয়ারিশ সনদ বানানোর অভিযোগ রয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৈলতলীর মৃত আবুল হোসেন চৌধুরী ১৯৯৯ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। সে মতে ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ চৌধুরী, ২০১১ সালের ২ মার্চ তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রয়াত আবুল হোসেন, সর্বশেষ চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি এস এম সায়েম পৃথক পৃথক ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন। সনদে স্ত্রী জাহানারা খানম, মেয়ে ইসমত আরা নিমন, ছেলে জ্যাম্বীল হোসেন চৌধুরীকে রেখে যান বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম সায়েম ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট এক ওয়ারিশ সনদে মৃত আবুল হোসেন চৌধুরীর জাহানারা খানম ১ম স্ত্রী, মোসলেমা বেগম ২য় স্ত্রী, জ্যাম্বীল হোসেন চৌধুরী ১ম স্ত্রীর ছেলে, মো. সাজ্জাদ হোসেন টিপু ২য় স্ত্রীর ছেলে বলে উল্লেখ করে অপর ১টি ওয়ারিশ সনদ দেন। উল্লেখিত ওয়ারিশ সনদ ব্যবহার করে চলতি বছর ৮ মে মৃত আবুল হোসেন চৌধুরীর সম্পত্তি নামজারি করে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি অবহিত হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চন্দনাইশ বরাবরে নামজারি বি.এস খতিয়ান বাতিল চেয়ে গত ১০ জুলাই আপত্তি দাখিল করেন। পরবর্তীতে জাল খতিয়ান সৃজনের অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সায়েম, আবদুর রহিম চৌধুরী, আবদুল মান্নান, খতিয়ান সৃজনকারী মোসলেমা খাতুন, সাজ্জাদ হোসেন টিপুকে আসামি করে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হক সানি অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পিবিআই চট্টগ্রামে প্রেরণ করেন।

চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ

Scroll to Top