নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া, রেলের মালামাল চুরিতে সহায়তা, সরকারি বাসায় মাদকসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ের এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের টাইম কিপার মো. হাবিবুল্লাহ বকুলের বিরুদ্ধে।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩ মার্চ চাটগাঁ নিউজে “টাইম কিপার বকুল আর কত অপরাধ করলে ব্যবস্থা নেবে রেল!” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হলে ২৪ মার্চ টাইম কিপার মো. হাবিবুল্লাহ বকুলের ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেন এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমা। বদলী করা হয় তাকে লাকসামে।
তবে বদলীর পরও কমেনি টাইম কিপার মো. হাবিবুল্লাহ বকুলের দাপট ও দৌরাত্ম্য। ২৪ মার্চ বদলী হলেও বদলীকৃত কর্মস্থল লাকসামে যোগদান করেননি টাইম কিপার বকুল। কাটিয়েছেন দীর্ঘ ছুটি, চাকরি না করেও তুলেছেন বেতন। এ ঘটনায় রেল পাড়ায় আলোচনার সৃষ্টি হলে দীর্ঘ ২২ দিন পর আবারো হাবিবুল্লাহ বকুলকে ছাড়পত্র দেন এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমা। তবে এরমধ্যেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে বকুলের বিরুদ্ধে।
রেল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একই ব্যক্তিকে একই কর্মস্থল থেকে দুটি ছাড়পত্র দেওয়ার নজির এটাই প্রথম। এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমা কিসের স্বার্থে বকুলকে দুইবার ছাড়পত্র দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার।
রেল সূত্রে জানা যায়, হাবিবুল্লাহ বকুলের অনৈতিক সব কর্মকাণ্ডের সহযোগী উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমা বরাবরই অনৈতিক সুবিধা দেন বকুলকে। তারই আশকারায় একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের পরও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের একজন কর্মচারী চাটগাঁ নিউজকে বলেন, টাইম কিপার মো. হাবিবুল্লাহ বকুল রেল পাড়ায় বেশ সমালোচিত। তাকে বদলীর ছাড়পত্র দেওয়ার পরও সে লাকসামে যোগদান করেননি। তাকে দু-একবার এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরে দেখা গেছে, তবে সে বদলীর পর যোগদান না করেই বেতন তুলেছেন। যা রেলওয়ে নিয়মের বহির্ভূত।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাইম কিপার মো. হাবিবুল্লাহ বকুল জানান, ছাড়পত্র দেওয়া হলেও তিনি তা বুঝে নেননি। এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমাকে রিকুয়েস্ট করে থেকে গেছেন চট্টগ্রাম দপ্তরে।
তিনি বলেন, অনেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য রটাচ্ছে, স্যার আমাকে রেখেছেন বলেই আমি থেকেছি, এখন আমি লাকসামে কর্মরত আছি। এর চাইতে বেশি কিছু জানতে চাইলে স্যারকে কল দেন।
তবে এসএসএই/ওয়ে/চট্টগ্রাম দপ্তরের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশল/পথ রিটন চাকমার অফিসে গিয়ে ও মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশল আবু জাফর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার অজুহাতে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এসএ