একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি, আবেদন তিন ধাপে

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মাউশির উপসচিব মো. আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও তিন ধাপে নেওয়া হবে ভর্তি আবেদন। প্রথম ধাপে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। যা চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টায়। এরপর আরো দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে। ভর্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য কোনও বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ অথবা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা অথবা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাা বা কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে।

যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তীর একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে সেই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনও অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top