নিজস্ব প্রতিবেদক : একদিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলিতে যৌথ বাহিনীর সিলগালা করা দোকানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল দশটা থেকে জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সিলগালা করা দোকানগুলো খুলে দেওয়া হয়।
তবে দোকানদাররা অভিযোগ করেন, দোকান খোলার পর যে সকল দোকানে সিসিটিভি ক্যামরা আছে সেগুলোর হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দোকান খোলার পর মালিকের থেকে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি মর্মে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।
যৌথবাহিনীর পক্ষে টাস্কফোর্স-৪ এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমরা হাজারীগলির ঘটনায় সরাসরি জড়িত যারা, যারা এসিড সন্ত্রাস করেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগতরাও বেশি থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমরা এখন শনাক্তকরণ ও ঘটনা তদন্তের কাজ করছি। তবে এখানে মূলত অধিকাংশই স্বর্ণ ও মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা দোকানগুলো খুলে দেয়ার কাজ করছি।
উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইসকনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে হাজারীগলিতে ইসকন সমর্থিত সনাতনীদের সাথে ফটোকার্ড শেয়ারকারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ইসকন মতাদর্শীরা হাজারীগলি মিয়া শপিং কমপ্লেক্সের মোল্লা স্টোরের আবদুল মালেক ও ওসমান আলী নামে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপর এসিড ছুঁড়ে মারার অভিযোগ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন রাতেই হাজারী গলিতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৮২ জনকে আটক করা হয়েছিল। বুধবার পুলিশ বাদি হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০/৬০০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে ৪৯ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি ৩৩ জনকে যাচাই-বাছাই করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ