আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপিসহ ১১২ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে আনোয়ারা উপজেলার বিএনপি কর্মী তৌহিদ মিয়া (৩৪) বাদী হয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহার নামীয় ছাড়াও জাবেদ ও ওয়াশিকা গ্রুপের অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, পিএস রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, জুঁইদন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ইদ্রিচ, হাইলধর ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, পরৈকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল, বারখাইন ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল, চাতরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শওকত ওসমান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবুর পিএস বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, দিদারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, নুরুল চৌধুরী, এনাম, সাইফুল ইসলাম শামীম, আব্দুল মালেক, অনুপম চক্রবর্তী, এম এ রহিম, আলী আকবর, মোহাম্মদ এরশাদ, রাশেদ নেওয়াজ ছুট্টু মেম্বার, আবু সৈয়দ চেয়ারম্যান, সিহাব উদ্দিন, কাজী ইসমাইল, ওবায়দুল হক মুন্না, নুরুল আবছার, ইরফান আলী, জমিরুল হক চৌধুরী, মিয়া হান্নান, কায়ছার উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, সাইফুদ্দিন দস্তগীর, মাঈন, জসীম উদ্দীন, আবু সাদেক, তারেক আজিজ, মিজানুর রহমান আসিফ, মামুনুর রশীদ, আব্দুল করিম, জাহাঙ্গীর আলম, আবু হানিফ, রফিক কোম্পানী, হাফেজ কাসেম, ছাবের আহমদ, মোহাম্মদ আসিফ, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, ইসতিয়াক আহমদ চার্লি, মো: জসীম উদ্দিন, কামরুল হাসান তুহিন, জয়নাল আবেদীন, শহীদুল আলম সাজ্জাদ, মো. শাহাব উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম দুলু, মোহাম্মদ কায়সার, মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, গোলাম নবী, মোহাম্মদ জুয়েল রানা, ছগির আহমদ আজাদ, মো. জয়নাল আবেদীন, মাহফুজুর রহমান, নয়ন সরকার, সেলিম উদ্দিন, ফিরোজ আহমদ খান, মো. জাহেদ, এ কে এম সাইফুল্লাহ খান, ইমরান খান, মামুনুর রশীদ, সন্তোষ চক্রবর্তী, ইমন নন্দী, উৎফল সেন, আব্দুল মাবুদ চৌধুরী, ফৌজুল মুবিন চৌধুরী, মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী মাসুম, ভিপি জাফর উদ্দিন চৌধুরী, নাছির উদ্দীন, মাঈন উদ্দিন মনছুর, আলী আব্বাস, মুজিবুল হক, মো. মিজান, মো. নঈম, মো. নাছির, এ কে খান, আবুল হোসেন, এম এ মান্নান মান্না, মোহাম্মদ সাহেদ মেম্বার, মো. হিরো, অভি দত্ত, মো. আলমগীর মুন্সি, জমির হোসেন মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আক্তার বক্স ও রাজীব তৈমিক এ টুইন্যাসহ এজহার নামীয় ১১২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৫০০/৬০০ শতাধিক নেতাকর্মী পিএবি সড়কের কালাবিবির দিঘির মোড়ে সমাবেশের জন্য সমবেত হলে বিকেল ৫টার দিকে এজহারনামীয় আসামিরা দেশী ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, কিরিচ, লোহার রড এবং লাঠি সোটা নিয়ে সমাবেশে সমবেত বিএনপির নিরস্ত্র নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। হামলায় ১৮-২০ জন বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় বাদী তৌহিদ মিয়া এবং নয়ন নামের বিএনপি কর্মীকে মোহাম্মদপুর পাহাড়ের টিলা নিয়ে যায় আসামিরা। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয়ে ২ মাস চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরে তারা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তৌহিদ মিয়া বলেন, এত বছর স্বৈরাচার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকায় এবং ঘটনার পরবর্তী সরকার দলীয় লোকজনের নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে পালিয়ে থাকায় পরবর্তীতে যথাসময়ে এজাহার দায়ের করতে পারিনি। এখন দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মী তৌহিদ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।