চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বিনোদন সংকটে ভুগতে থাকা চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য উম্মুক্ত করা হলো লাখো ফুলের সমারোহে সজ্জিত দৃষ্টিনন্দন ‘ডিসি পার্ক’। যেখানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৩৬ প্রজাতির ফুল।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মাসব্যাপী এই ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
এক সময়ের মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত পাওয়া স্থানটিতে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি ফুলগুলো। এসব রঙ-বেরঙের ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন শিশু-কিশোর থেকে সকল বয়সীর নারী-পুরুষ। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনোলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, অপরাজিতা, চেরি, জাকারান্ডা, লিপ, উইস্টেরিয়াসহ দেশি-বিদেশি এসব ফুল স্বর্গীয় আভা ছড়াচ্ছে সকলের মনে।
সড়কের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে বাহারি রঙের ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতাদের দখলে ছিল সরকারের ১৯৪ একর জায়গা। ২০২৩ সালের মাদকের সেই আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে তৎকালীন প্রশাসন। গড়ে তোলা হয় নান্দনিক এই ডিসি পার্ক।
গত বছরও এই ডিসি পার্কে ফুল উৎসবের আয়োজন করে প্রশাসন। গত বছরের ফুল উৎসবে ১২৩ প্রজাতির ফুলের সমারোহ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ডিসি পার্কে ফুল উৎসব করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, আজ (৪ জানুয়ারি) শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ফুল উৎসব।
এ উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব, বই উৎসব, ভিআর গেইম, ভায়োলিন শো, পুতুল নাচ, ১৩০ প্রজাতির ফুলের সমারোহ, ২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল, ৩১ জানুয়ারি ঘুড়ি উৎসব, ফুলের সাজে একদিন, ১৭ থেকে ২৩ জানুয়ারি পিঠা উৎসব, ১০ থেকে ১১ জানুয়ারি লেজার লাইট শো ও ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি মুভি শো। মাসব্যাপী এ ফুল উৎসবের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান— টিউলিপ, গোলাপসহ প্রায় সব রকমের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ডিসি পার্ক। লাল, হলুদের পাশাপাশি সাদা ও গোলাপি ফুলের সমারোহও উপভোগ করা যাবে ডিসি পার্কের মাসব্যাপী ফুল উৎসবে।
১৯৪ একর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠা ডিসি পার্কে রয়েছে তিনটি বিশাল আয়তনের পুকুর। রাখা হয়েছে জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থান কর্নারসহ ফুডকোর্ট, পর্যটকদের বসার স্থান, সেলফি কর্নার, অনুষ্ঠানস্থল, ভাসমান ফুল বাগান, হাটা চলার উন্মুক্ত স্থান, অস্থায়ী খেলার মাঠ, স্থায়ী ফুলের বাগান, শিশুদের খেলার মাঠ, ভিআইপি জোন, কন্ট্রোল রুম, রেস্টুরেন্ট, ফুড কর্নার, সানসেড ভিউ পয়েন্ট, টিউলিপ গার্ডেন ও আগত দর্শনার্থীর জন্য পাবলিক টয়লেট।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ