চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চালু হতে না হতেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হলেও চাহিদা কম থাকায় বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। তবে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক যাত্রায় চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডকে (সিইউএফএল) এক লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হলেও চাহিদা কম থাকায় বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। ওইদিন চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডকে (সিইউএফএল) এক লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু তাদের শাটডাউনের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, কোরিয়ান ইপিজেডকে পানি সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে সংযোগ প্রদান করা এক হাজার আবাসিক গ্রাহককে মিটার লাগানোর পর পানি সরবরাহ দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রকল্পটি কিছু কিছু সময়ের জন্য চালু করে বিভিন্ন এলাকার লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ দিতে ২০১৯ সালে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এটির কাজ শেষ হয়েছে। এটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬ কোটি লিটার।
ওয়াসা সূত্র জানায়, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, সরকারি ও বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কোরিয়ান ইপিজেডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি সরবরাহের জন্য ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এই প্রকল্পের জন্য পানি শোধনাগার তৈরি করা হয়।
জানা গেছে, নদী থেকে পানি উত্তোলনের পর কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে অবস্থিত শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। প্রায় এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পটিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ