চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউনে রাজধানীর উত্তরা-আজমপুর এলাকায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নিহত ২ শিক্ষার্থী নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নিহত চারজনই আন্দোলনকারী। এছাড়াও সংঘর্ষে আরও শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ বলেন, সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ওই ছাত্র নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে গেছেন।
অধ্যক্ষ জানান, শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে আসেন। তাঁদের অনেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ বলেন, আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত বেশি যে হাসপাতালে স্থান দিতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের বাংলাদেশ আই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষ শুরু আজ বেলা ১১টার পর থেকে।
বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ও র্যাব তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে