উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ডিগিলিয়াপালং চাকবৈঠা এলাকায় দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাকবৈঠা এলাকায় ইছমাইল বাহিনীর নেতৃত্বে মুদির দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, সাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চাকবৈঠা এলাকায় মুদির দোকান করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ দোকানে ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট করে চলে যায়। এই লুটপাটের নেতৃত্ব দেন রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগিলিয়া চাইরকাটি এলাকার ছৈয়দ করিমের ছেলে মো ইছমাইল(২৩), সিরাজুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন(২৫), মৃত কাদির হোছেনের ছেলে মো: আরাফাত(২৪) সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন।
অভিযোগের সূত্রে আরও জানা যায়, দোকানের মালিক শাহাব উদ্দিন রাতে দোকান বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লে মো ইসমাইল ডাকাডাকি করে। দোকানের দরজা খুলতে নাখুলতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে দোকানে ক্যাশে থাকা ৯৭ হাজার ৪ শত টাকা, মামলা লুটপাটের আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল মূল ১৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়৷ এসময় আঘাতপ্রাপ্ত হয় মাহবুবুল আলম(৩৪), জিয়াউল আলম তারেক(৩৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী মো ওসমান বলেন, রাত আনুমানিক ১টায় একদল সন্ত্রাসী সাহাব উদ্দিনের দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধর করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। যারা হামলায় চালিয়েছেন তারা চাকবৈঠা এলাকায় নিয়মিত আসাযাওয়া করায় তাদের চিহ্নিত করা হয়।
দোকানে মালিক সাহাব উদ্দিন বলেন, “আগেরদিন বুধবার উখিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির জমাকৃত টাকা তুলিয়া আমার দোকানের ক্যাশ বক্সে রাখি। সেই টাকাগুলোও নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা৷ আমার হাতের একটি মোবাইল নিয়ে যায়। এবং দোকানে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়৷ তারা সবাই মাদকাসক্ত ছিল তাই এমন করে মারধর করে টাকাপয়সা ও মালামাল লুটপাট করে চলে যায়।”
এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রুমান মেম্বার বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ২টায় আমাকে মুঠোফোনে দোকানে লুটপাটের বিষয়টি জানিয়েছিল৷ তবে আমি চট্টগ্রাম থাকার কারণে বিষয়টি মিমাংসা করা সুযোগ হয়নি। আমি উখিয়া আসলে বিষয়টি মিমাংসা করবো।”
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।