উখিয়ায় জানুয়ারিতে সড়কে ঝরেছে ৬ প্রাণ, আহত ২ শতাধিক

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার আরকান সড়কে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গাড়ির গতিতে উখিয়ায় জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় দুই শতাধিক ৷ ৬ জন মৃত্যুর মধ্যে মোটরসাইকেল ৪ জন।

সড়কের দুপাশে ঝুপড়ি দোকান, সড়ক দখল করে ঘর নির্মাণ ও অতিরিক্ত মাত্রায় যানবাহন চলাচল, রোহিঙ্গা ড্রাইভার এবং জনসংখ্যার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

উখিয়া উপজেলায় জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ তার উপর প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা ২১ টি ক্যাম্পে বসবাস করায় রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ, খাদ্য সরবরাহ সার্বিক সাহায্যে নিয়োজিত এনজিও সংস্থায় উখিয়া সড়ক ব্যবহার করছেন প্রায় ৫ হাজারের অধিক যানবাহন ও মালবাহী গাড়ি। এ নিয়ে উখিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাদের ছেলে-মেয়ে সঠিক সময়ে স্কুল-কলেজে যেতে নানাভাবে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ হিসেবে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা এলাকায় মোটরসাইকেল ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিটন গাজী (১৮) এবং আবদুর রহমান (১৮) নামের দুজনের মৃত্যু হয়৷

গত ৯ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলা কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের চাপা পড়ে নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলার ভবপুর গ্রামের লিকু মারমা (৩০) নামের একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।

শুক্রবার ১০ জানুয়ারি আরকান সড়কের খুনিয়াপালং এলাকায় বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় একজন সিএনজি আরোহী হলদিয়াপালং পাতাবাড়ি এলাকার সাহাব উদ্দিনের মৃত্যু হয়৷

কুতুপালং লম্বাশিয়া সড়কে ১৪ জানুয়ারি বেপরোয়া ডাম্পার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এনজিও কর্মী রাবেয়া আক্তার (২২) নামে এক নারী মৃত্যু হয়৷

গত ২৭ জানুয়ারি পালংখালী কেরুনতলি এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় সিএনজি আরোহী এক শিশুর মৃত্যু হয়।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইদানিং বেড়ে নাম্বার বিহীন গাড়ি। এসব গাড়ির চালক বেশিরভাগ রোহিঙ্গা যার ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রোহিঙ্গাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ না করলে এসব দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না।

উখিয়া উপজেলার কৃষকদলের সদস্য সচিব সাদমান জামি চৌধুরী জানান, সড়কে পাশে ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদের পাশাপাশি লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ করলে সড়ল দুর্ঘটনা কমবে৷ অন্যতায় এই দুর্ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব না।

উখিয়া শাহপুরী হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা মাহবুল কবির জানান, আমরা প্রতিদিন নাম্বার বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি এবং প্রতিমাসে সচেতনামূলক সভা করি৷ জানুয়ারি মাসে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী। তাই আমরা নাম্বার ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে এবং সচেতন করছি। রোহিঙ্গা কোন গাড়ি চালক পাইলে তাকে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং গাড়িও জব্দ করা হয়।

চাটগাঁ নিউজ/ইব্রাহিম/এমকেএন

Scroll to Top