উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয় গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রায় ২৪ হাজার ২৯৫টি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ চন্দ্র রায়৷
এ বছর উপজেলায় কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ২০ হাজার টি৷ চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর সংখ্যা বেশি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদে কোরবানি পশুর প্রস্তুত ২৪ হাজার ২৯৫টি। তার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৫৭টি গরু ও মহিষ ১ হাজার ৭শ ৩৬টি ও ৬ হাজার ১শ ২৫টি ছাগল এবং ১ হাজার ১শ ৭টি ভেড়া রয়েছে। এসব পশু আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিক্রয় করা হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। ফলে, কোরবানির জন্য কোনোরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।
রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকার আব্দুর রহিম জানান, এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ভূষি, খুদ, চাল ও ভুট্টার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। যে কারণে গবাদিপশু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে আমাদের।
পালংখালী ইউনিয়নের খামারি আজমত উল্লাহ জানান, তার খামারে থাকা ২০টি গরুর মধ্যে ১৬ টি কোরবানিতে বিক্রি করবেন। আমার খামারে সব দেশি জাতের গরু। এগুলো ১ লাখ থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করব। গত বছর একই ওজনের গরু ১ লাখের নিচে বিক্রি করেছিলাম। পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গরুর দাম বেশি রাখতে হবে।
উখিয়া গরু বাজারের পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ইতিমধ্যে উখিয়া দারোগা বাজারের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। এই বাজারে নিসন্দেহে সকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত গবাদিপশু কেনা-বেচা করতে পারবেন।
উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর হাট বাজারে ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে। কোনো গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ চন্দ্র রায়, ‘এবার কোরবানির প্রাণী প্রস্তুত আছে ২৪ হাজার ২৯৫টি। এই ঈদে প্রাণীর সংকট পড়বে না। চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর সংখ্যা বেশি আছে৷ এতে খামারি ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, উখিয়াতে ৩টি স্থানীয় গরুর বাজার রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কয়েকটি অস্থায়ী গরু বাজার বাসানো হবে৷ তবে সড়কে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন কোনো অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো অস্থায়ী পশুর হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।