সিপ্লাস ডেস্ক: ঈদের দিন, ঈদের আগে ও পরের তিন দিনসহ মোট সাত দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সভা কক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নকরণ সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা জানান।
মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা বেশি হয় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেলের উপদ্রবটা বেশি। মোটরসাইকেলে বেশির ভাগ অ্যাক্সিডেন্ট হয়। বিষয়টা দেখতে হবে। সিগন্যালে যদি এক ঝাক মোটরসাইকেল দেখেন, দেখবেন হেলমেট আছে। আবার যদি এক ঝাক দেখেন হেলমেট নেই তাহলে বুঝবেন, এরা পলিটিক্স করে।
ঢাকা মহানগরে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুলিশের যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব, আমি পার্টির সেক্রেটারি, আমি রং সাইড দিয়ে যাচ্ছি? রং সাইড দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপস করবেন না।
ঈদের সময়ে সব পোশাক কারখানায় যেন একই সময়ে ছুটি না হয়, সমন্বয় করে ছুটি দিতে শ্রম মন্ত্রণালয় ও গার্মেন্টস মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বিভিন্ন সেতুতে টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সবাই মিলে সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে জানিয়ে মোটরসাইকেলের প্রতি নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
সভায় হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মে মাসে ২৫ হাজার মামলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ফিটনেস না থাকার কারণে, যা ঈদেও অব্যাহত থাকবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন,
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষ, বিআরটিসি, সেতুবিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।