চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে গতকাল শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালন করছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। ঈদে যে যার মতো নাড়ীর টানে ছুটছেন আপন নীড়ে। আপনজনের সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য অনেকে ছেড়েছেন নগরী। তাই ব্যস্ততম চট্টগ্রাম বন্দর নগরী এখন অনেকটা জনাকীর্ণ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাসস্টেশন, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, অলংকার মোড়, একে খান ও সিটি গেট এলাকার বাস কাউন্টারগুলোয় নেই আগের মতো কোনো ভীর। চট্টগ্রাম থেকে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন, চারটি মেইল ট্রেন এবং দুটি স্পেশাল ট্রেনের কোনো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি।
এছাড়া ফাঁকা থাকতে দেখা গিয়েছে নগরীর বিপণী বিতানগুলো। সপ্তাহখানেক আগেও যে মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স ভরপুর ছিলো ক্রেতা সমাগমে। আজ তা পুরোটায় ফাঁকা।
তবে ফাঁকা নগরীকে নিরাপত্তার কাজে যে সকল পুলিশ, আনসার ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত তারা বলছেন, ব্যস্ততম নগরী শূন্য হওয়াতে নিরাপত্তার কথাও তাদেরকে চিন্তা করতে হচ্ছে আগের চেয়ে অধিক। অনেকে প্রিয় পরিবারের সাথে কাঁটাতে পারছেন না ঈদ। কিন্তু তাতে তাদের দুঃখ থাকলেও জনগনের জানমাল রক্ষায় এমন সেবামূলক কাজই আনন্দ বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তার কাজে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঈদে নগরীর রাস্তাঘাটে যানবাহনের চাপও কমেছে আগের চেয়ে অনেক। তবে যে সকল গাড়ি রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে সে সকল গাড়ি ঈদকে পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন যাত্রী সাধারণ থেকে। জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুন নেওয়া হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসে। বাস ছাড়া অন্য যানবাহনেও আদায় হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
তবে এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ থাকলেও বছর ঘুরে আসা ঈদকে কেন্দ্র করে সেসব ভুলে আনন্দে মেতে উঠেছেন নগরবাসী। সকলের একটাই প্রত্যাশা বছরঘুরে আসা এই উৎসব যেন সৌহার্দ আর সম্প্রীতির বন্ধন রেখে সকল মানবজাতির জীবনে সুখ শান্তি আর প্রগতির বার্তা নিয়ে আসে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন