সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমুকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে ঈদগাঁও মাইজ পাড়াস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নামাজে জানাজা পুর্বে হুমায়ূন কবির চৌধুরী হিমুর স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক চেয়ারম্যান( অবঃ) লেঃ কর্নেল ফোরকান আহমদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল, আওয়ামী লীগের জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
স্মৃতি চারণ সঞ্চালনা করেন ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ।
স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণে সব সময় কাজে করে গেছেন এবং গরীব মেহনতি মানুষের বন্ধু ছিলেন হুমায়ূন কবির চৌধুরী হিমু। ঈদগাঁওবাসীর যে কোন দুঃসময়ে সব সময় এগিয়ে আসতেন। ঈদগাঁওবাসীর এ শুণ্যতা পুরণ হবার নয়। সকলে তার পরকালীন শান্তি ও তার অবুঝ ৩ সন্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান। হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু ৩০ আগষ্ট স্ট্রোক করে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের (HDU) তে ও সেখান থেকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সপ্তাহ চিকিৎসা চলমান তার অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্য তার ক্যাথেটরে সমস্যা হলে ঐ অবস্থায় অপারেশন সম্ভব হবে না বলে অন্য হসপিটালে রেফার করে দেন।
২২/২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে ল্যাবএইডে নিয়ে যাওয়া হলে ল্যাবএইডে প্রথমে এইচডিউতে রাখা হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে ২৫ সেপ্টেম্বর আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে আরো কিছুদিন রাখার পর প্রপার ট্রিটমেন্ট না হওয়ায় অবস্থার অবনতি হতে থাকে।এরপর এভারকেয়ারের ডাক্তার এস কে দাসের পরামর্শক্রমে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পপুলারের আইসিওতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে।
শরীরের অক্সিজেন লেভেল,পাল্স রেট, প্রেশার সব ঠিক ছিল কিন্তু ব্রেইনের কোন রেসপন্স ছিল না। উনার শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি নেই তাই ব্রেইন রেসপন্স করছে না। এ অবস্থায় ছিল অনেক দিন। কয়েক দিন আগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।