ইসলামের জন্য কারও অনুভূতি থাকলে সেটা বিএনপির: রিজভী

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ইসলামের জন্য কারও অনুভূতি থাকলে সেটা বিএনপির আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহিদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দু-একটি ইসলামি দল জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। ইসলামের জন্য কারও অনুভূতি থাকলে সেটা বিএনপির আছে। ইসলামের নাম নিয়ে সুযোগসন্ধানী কাজ করবেন, এটা মানুষ জানে।

তিনি বলেন, ‘ইউটিউব, বিভিন্ন কনটেন্ট, সামা‌জিক যোগা‌যোগমাধ্যম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে আজেবাজে ছড়াচ্ছেন আমরা কিন্তু জানি। আমরা নেতাকর্মীদের বলেছি, তাদের কোনো উস্কানিতে পা দেবেন না।’

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনূস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেন না এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই ওপর অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু-একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করল। সেই এরশাদের সাথে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। শেখ হাসিনার সাথেও চলে গেলেন। সব সময় সুবিধা খুঁজে বেরান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেরান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন?’

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ পরিবারকে সহায়তা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রাম জেলায় শহিদ রায়হানুল ইসলাম, শহিদ সৈকত, শহিদ শফিকুল ইসলাম, শহিদ শফিকুল ইসলাস শফি, শহিদ রাশেদুল ইসলাম, শহিদ নুর আলম, শহিদ কামাল আহমেদ বিপুল, শহিদ আশিকুর রহমান, শহিদ জহির ও শহিদ গোলাম রব্বানীর পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top