চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শত্রুতাপূর্ণ মার্কিন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার’ অভিযোগে মার্কিন-ইরানিয়ান সাংবাদিক রেজা ভালিজাদেহকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেইন আগাসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তেহরানের বিপ্লবী আদালত এক সপ্তাহ আগে এই রায় ঘোষণা করে। আইনজীবী আগাসি জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে। তবে রায় ঘোষণার পর থেকে ভালিজাদেহর সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেননি।
আগাসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, রেডিও ফারদায় কাজ করার অপরাধে ভালিজাদেহকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে তেহরান এবং পাশ্ববর্তী প্রদেশগুলোতে বসবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং দুই বছরের জন্য রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রেজা ভালিজাদেহ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকার ফারসি ভাষার বিভাগ এবং রেডিও ফারদায় কাজ করেছেন। রেডিও ফারদা যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল মিডিয়া এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম, যা ইরানের সরকার শত্রুভাবাপন্ন বলে বিবেচনা করে।
২০২৪ সালের মার্চে ভালিজাদেহ ইরানে ফিরে আসেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৩ বছর পর আমি কোনো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়াই আমার দেশে ফিরে এসেছি। দেশে ফেরার ছয় মাস পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভালিজাদেহর রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে, ইরানের কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট অধিকারকর্মী রেজা খানদানকে গ্রেফতার করে। তিনি পুরস্কারজয়ী অধিকারকর্মী নাসরিন সতোউদেহর স্বামী।
ইরানে সাংবাদিক এবং অধিকারকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন নতুন কোনো বিষয় নয়। ২০০৭ সালে রেডিও ফারদার প্রাক্তন সম্প্রচারক পারনাজ আজিমার পাসপোর্ট জব্দ করে ইরান কর্তৃপক্ষ এবং তাকে দীর্ঘদিন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
২০২৩ সালে আরেক প্রাক্তন সাংবাদিক কিয়ানুশ সানজারি তেহরানে একটি ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দি মুক্তির দাবি করেছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি