ইয়েমেনে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ডব্লিউএইচও প্রধান

বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে হামলার সময় সেই স্থানেই ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তবে হামলার পর তিনি নিরাপদে আছেন বলে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান এবং জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মীরা ইয়েমেনের সানায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, তিনি এবং অন্য কর্মীরা বিমানে ওঠার সময় বিমানবন্দরটি বোমা হামলার শিকার হয়। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের বিমানের একজন ক্রু সদস্য আহত হয়েছেন। বিমানবন্দরে দু’জন নিহত হয়েছেন।

হুথিচালিত মিডিয়ার মতে, বিমানবন্দরের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্যান্য বন্দরে হওয়া এই হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার করার পর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই হামলাকে বর্বর বলে বর্ণনা করেছে।

অবশ্য নিহতরা বেসামরিক নাগরিক নাকি হুথি বিদ্রোহী তা স্পষ্ট নয়। এক বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের যুদ্ধ বিমানগুলো পশ্চিম উপকূল এবং ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসী সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক হামলা চালিয়েছে।

সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক অবকাঠামোর পাশাপাশি হেজিয়াজ এবং রাস কানাতিব পাওয়ার স্টেশন এবং পশ্চিম উপকূলে আল-হুদাইদাহ, সালিফ ও রাস কানাতিব বন্দরের অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও আইডিএফ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল।

গতবছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top