‘ইত্যাদি’র অনুষ্ঠানে ভাংচুর-মারামারি নিয়ে মুখ খুললেন হানিফ সংকেত

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত রাজা টংকনাথের রাজবাড়িতে আয়োজিত ‘ইত্যাদি’র অনুষ্ঠানে ভাংচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র কিছু শর্ট ধারণের পর রাত ৮ টার দিকে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুর শুরু হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে পরে হানিফ সংকেত ইত্যাদি’র কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার ইত্যাদির অনুষ্ঠান শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের কর্ণধার হানিফ সংকেত।

ইত্যাদি’তে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনা নিয়ে দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মুখ খুলেছেন হানিফ সংকেত।

হানিফ সংকেত বলেন, আমরা অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সাড়ে সাতটা কি আটটার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের আগে আমরা আট হাজার প্রবেশ পাস দিয়েছি। ওখানে কিন্তু আর্মি, পুলিশ সবাই ছিল। যখনই আমরা অনুষ্ঠান শুরু করলাম। দর্শক তালি দিল। যেই আমি মঞ্চে এলাম, শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন করল কি? বাঁশের ব্যারিকেড ছিল, তা ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাচাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার–ছোঁড়াছুঁড়ি করছে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন,আমি তখন প্রশাসনকে ডেকে বললাম, ‘এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি। আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, ‘অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন।’ এ–ও অনুরোধ করেছি, ‘চলে যান। পরবর্তী সময় আমরা চিন্তা করব কী করা যায়।’ লোক যেতে যেতে তিন ঘণ্টা সময় লেগে গেল।

এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। এখানকার স্থানীয় লোকজন খুবই আন্তরিক। তাঁরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লজ্জিত হয়েছেন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি

 

Scroll to Top