চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক এবং এক্সের মতো প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সিইও ইলন মাস্ক ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়েছেন।
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ারস ট্র্যাকার অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ এখন ৫০০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বিকেল ৩: ৩০ মিনিটে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের গণ্ডি অতিক্রম করে, যা তাকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ওরাকল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে দেয়।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে মাস্কের সম্পদ ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে আকাশচুম্বী হয়ে একাধিক মাইলফলক অর্জন করেছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ১০০ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ২০০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪০০ বিলিয়ন ডলার, আর এ সপ্তাহে তা ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়।
মাস্ক এখন দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরাকল–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৫০ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ব্যবসায়ীর সম্পদ সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে তার ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার ওপর।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মাস্ক সেখানে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারদর ইতোমধ্যেই ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
শুধু গত বুধবারই শেয়ারের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বাড়ে। এতে মাস্কের সম্পদে যোগ হয় আনুমানিক ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বছরের শুরুতে টেসলার শেয়ারের দাম ওঠানামা করলেও পরের দিকে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়।
গত মাসে টেসলার বোর্ড চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোম জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’—এর প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে তিনি টেসলায় আবার মনোযোগ দিচ্ছেন।
এর অল্প কিছুদিন পর মাস্ক জানান, তিনি প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টেসলার শেয়ার কিনেছেন। এতে বোঝা যায়, টেসলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তার আস্থা অনেক বেশি, বিশেষ করে যখন কোম্পানি গাড়ি প্রস্তুতকারক থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস খাতে নেতৃত্ব নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে।
টেসলা মাস্কের অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদের একমাত্র উৎস নয়। তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স–এর বাজারমূল্যও এ বছর বেড়েছে।
পিচবুকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে এক্সএআই–এর মূল্য দাঁড়ায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার। গত সেপ্টেম্বরে সিএনবিসি জানায়, নতুন অর্থ সংগ্রহের পর কোম্পানিটি ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে।
ফোর্বস বলছে, যদি মাস্কের সম্পদ এই ধারা বজায় রেখে বাড়তে থাকে, তাহলে তিনি বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হবেন। তাও সেটি ২০৩৩ সালের মার্চের আগেই।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ