ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক:  দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়েছে। ডিসেম্বরে সেনাশাসন জারি করার ব্যর্থ চেষ্টার মাধ্যমে তিনি দেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন সংকট সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপরাধে অভিযুক্ত হলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সিউলের একটি আদালত শনিবার ইউনের আটকের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পর সোমবারের মধ্যেই তাকে অভিযুক্ত বা মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মুখপাত্র হান মিন-সু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারীর শাস্তি এখন শুরু হলো।

এদিকে সাংবিধানিক আদালত ইউনকে চূড়ান্তভাবে পদচ্যুত করবে নাকি পুনর্বহাল করবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

৩ ডিসেম্বর ইউন এক টেলিভিশন ঘোষণায় বলেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি থেকে দেশকে রক্ষা করতে সেনাশাসন জারি করছেন। ওই সময়ে তিনি বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থায় ছিলেন এবং তার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন ছিল। সেনাবাহিনী সংসদের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয় এবং সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

ইউনের ঘোষণার পরপরই বিরোধীদলীয় নেতা লি জে-মিউং জনগণকে সংসদ ভবনে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান করেন। তার সঙ্গে আরও ১৯০ জন সংসদ সদস্য–যাদের মধ্যে প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যরাও ছিলেন–সর্বসম্মতভাবে সেনাশাসন প্রতিহত করেন।

তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেনাসদস্যরা রাইফেল হাতে ভাঙা জানালা দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করে। বাইরে হাজারো সাধারণ মানুষ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

১৪ ডিসেম্বর ইউনকে সংসদে অভিশংসিত করা হয় এবং তার দায়িত্ব স্থগিত করা হয়।

ইউনের কট্টর সমর্থকরা তার মুক্তি ও পুনর্বহালের দাবিতে শুক্রবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তবে আদালত তাকে দোষী প্রমাণিত করলে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top