আসলেই কী ক্রোক হচ্ছে এস আলমের সম্পত্তি?

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দেশের সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। এজন্য এই গ্রুপের সম্পদ কাউকে না কেনার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের এই ঘোষণার পরপরই ব্যাংকে বন্ধক নেই- এমন সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপ। তাই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এস আলমের সম্পদ বিক্রয় করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারবে তো কেন্দ্রীয় ব্যাংক?

কারণ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর মইজ্জার টেক এলাকায় অবস্থিত এস আলমের ফ্যাক্টরি থেকে কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি ভিডিওতে। নিজেদের সম্পদ হস্তান্তর বা লুকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শিল্পগ্রুপটি। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রামের কিছু বিএনপি নেতা। যা আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।

অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাদের সহায়তায় রাতের আঁধারে এস আলমের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নেতৃত্ব দেন বলেও জানা গেছে।

ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে— এস আলমের একটি ফ্যাক্টরি থেকে রাতের আঁধারে একের পর এক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিলাসবহুল সব গাড়ি। তবে ঠিক কখন গাড়িগুলো সরানো হয়েছে, তার সঠিক সময় জানা সম্ভব হয়নি।

এসময় ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের ড্রাইভার মনসুর, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব পিবলু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম নয়ন উপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় কালুরঘাট এলাকায় মীর গ্রুপের একটি কারখানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও বিএনপি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গেলে তারা আমাকে ফোন করে। আমি ওই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ভাইয়ের সহায়তায় কিছু লোক পাঠাই। তবে এস আলমের কারখানায় সমস্যার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

তবে সরিয়ে নেওয়া গাড়িগুলো যদি পরে শনাক্ত করা যায় তাহলে মালিকানার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া কী হতে পারে- এটাও জনমনে প্রশ্ন ওঠেছে।

এদিকে, অনেকে চাটগাঁ নিউজে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, যেভাবে এস আলম গ্রুপের বিলাসবহুল গাড়ি রাতে আঁধারে সরিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে- তার মানে কী, আসলেই এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি ক্রোক হচ্ছে?

চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসএ

Scroll to Top