আশ্রয় দিচ্ছেনা কোনো দেশ, বিপাকে শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে না কোনো দেশ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যদিও পরিষ্কার ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, শেখ হাসিনার জন্য ভারতই শেষ গন্তব্য নয়। তবে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও, এখনও জানা যায়নি শেখ হাসিনা আসলে যাচ্ছেন কোথায়।

একাধিকবার ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম শোনা গেলেও সেখান থেকে তার আবেদন প্রত্যাখ্যানের খবর পাওয়া গেছে। ফলে ভারতের পর শেখ হাসিনার গন্তব্য ঠিক কোথায় তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২০২৪ সালের ৫ই জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন আবার নতুন ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তিনটি পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। এক পর্যায়ে কোটা আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে পরিণত হলে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। তবে ভারতে অবস্থান নিয়েও বেশ বিপাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এর গবেষক টম কিন বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া শেখ হাসিনার জন্য সহজতর নয়। এমনকি সম্ভব নাও হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এই গবেষক।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউট এর পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনী যে প্রবল শক্তি প্রয়োগ করেছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের যে দমন পীড়ন ছিল সেটি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর খুবই আপত্তি ছিল। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যে সব দেশ মাথা ঘামায়না তারা হয়ত তাকে আশ্রয় দিতে পারে।

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আরোও বেশি মানুষ হত্যা করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা, এমন মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এর টম কিম। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যদি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর তদন্ত করে এবং কোনো বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে সেটি ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ব্রিটেনেও নিরাপদ নন।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে আশ্রয় চেয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দিতে চাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। যদিও শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এ সকল তথ্য মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।

চাটগাঁ নিউজ/এআইকে

Scroll to Top