চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবর হত্যাকাণ্ডে অবশেষে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ২ থেকে ৩ জন।
সোমবার (২৬ মে) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানায় আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম।
সোমবার দিবাগত রাতেই নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অবস্থিত একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়।তারা হলেন- ওসমান আলী সেগুন ও মো. আলভীন। তাদের মধ্যে ওসমান আলী বিদেশ পলাতক ও চট্টগ্রামের এইট মার্ডার মামলার আসামি সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাই এবং আলভীন তাদের ভাগিনা।
এছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মোবারক হোসেন ইমন (২২), রায়হান (৩৫), খোরশেদ (৪৫), মোহাম্মদ (৩৫), বোরহান (২৭), মো. হজরত আলী (৩৫), মো. হেলাল (২৯), মো. মইনুদ্দিন ওরফে শাহাবুদ্দিন সাবু (৩৩) ও জয়নাল আবেদীন রনি (৩০)।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান। র্যাব তাদের রাতেই পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানান র্যাবের এক কর্মকর্তা।
এর আগে গত শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় একটি দোকানে নাস্তা করার সময় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ঢাকাইয়া আকবর বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। নানান কারণে তিন বছর আগে থেকে গুরু সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এটি নিয়ে আকবরের সঙ্গে বড় সাজ্জাদের অনুসারী বর্তমানে কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরত্ব ছিল৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন আকবরকে। আকবরও ছোট সাজ্জাদ ও তামান্নাকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ