বিনোদন ডেস্ক: দেশের নাটক অঙ্গনের খ্যাতিমান নাম কচি খন্দকার। নির্মাতা, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, প্রতিটি পরিচয়েই তিনি পেয়েছেন অতুলনীয় সফলতা। অভিনয় দিয়ে হয়েছেন দর্শকনন্দিত, নির্মাণে দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা, আর গল্পে বলেছেন সাধারণ মানুষের মনের কথা।
তবে এসবের বাইরে তিনি একজন দুর্দান্ত সাংগঠনিক মানুষ।
সম্প্রতি শিল্পীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কথা বলেছেন কচি খন্দকার। তিনি বলেন, ‘শিল্পীরা রাজনীতির সঙ্গে থাকবে। এখানে দোষের কিছু নেই। কারণ সবচেয়ে সুন্দর রাজনীতি শিল্পীরাই করতে পারে। কারণ তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে। এই জায়গায় যদি কোনো শিল্পী ব্যর্থ হয় তাহলেই তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একজন শিল্পীর সততা তাকে সামাজিকভাবে আরও প্রসারিত করবে।
এখন কেউ যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে নিজেদের অপরাধী করে ফেলে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।’ এ সময় তিনি আরও জানান, একজন শিল্পী সমাজের কাছে দায়বদ্ধ, মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতা যে অনুসরণ করে, সে কখনো অন্যায় করতে পারে না। এরপর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শিল্পীদের অবদান নিয়েও কথা বলেন এই শিল্পী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা শিল্পীদেরই সবচেয়ে ভালোভাবে বলতে হবে। কারণ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের শিল্পীদের যে অবদান, তা বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদেরও মনে রাখতে হবে। দেশের জন্য সেসময় অনেক শিল্পী জেল খেটেছে, জীবন দিয়েছে। তার পরও শিল্পীরা বঞ্চিত হয়েছে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এর পরও শিল্পীদেরই দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কেমন বাংলাদেশ চান তিনি? এক কথায় তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের বাংলাদেশ চাই।’ কচি খন্দকারের পরিচালনায় জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘এফডিসি’, ‘ইয়েস বস নো বস’, ‘জেলাস’, ‘নো কোশ্চেন নো আনসার’ ও ‘প্রবাদ বাক্য’ উল্লেখযোগ্য। তার রচিত ‘ক্যারাম’, ‘কবি, লিটল ম্যাগ’, ‘খসরু+ময়না’, ‘বাইসাইকেল’, ‘ভূগোল’, ‘জেলাস’, ‘জুতো আবিষ্কার’, ‘মানুষ/অমানুষ’ ও ‘আলেকজান্ডার দ্য সেলুকাস’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া নাটকের পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। তার অভিনীত সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘ব্যাচেলর’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘গেরিলা’, ‘প্রজাপতি’ ও ‘গোয়েন্দাগিরি’।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ