সিপ্লাস ডেস্ক: যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির প্রথম চালানে ভারত থেকে ডিম এসেছে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস।
(৫ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে ডিমের চালান নিয়ে একটি গাড়ি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। পর্যায়ক্রমে এ পথে আরও ডিম আসবে বলে জানান আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা।
প্রথম চালানের এ ডিমের আমদানিকারক ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত বিডিএস করপোরেশন। এ চালানের রপ্তানিকারক ভারতের ত্রিপুরার কানুপ নামক এক প্রতিষ্ঠান।
এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে।
বেনাপোল দিয়ে আসা প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা। এর ওপর সরকারি শুল্ক এক টাকা ৮০ পয়সা। এলসি খরচ, রপ্তানি খরচ, পোর্ট চার্জ, সিঅ্যান্ডএফ চার্জ, পরিবহন খরচ ধরলে ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকার মধ্যে থাকবে।
প্রথম চালানের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৮৮ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার।
(৮ অক্টোবর) ৫টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বলেন, “আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, “এসব শর্তের মধ্যে একটি হলো, রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।”
দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারকদের কিছুটা সময় লাগে। এ কারণে ডিম আসতে দেরি হয়েছে বলে জানান মো. হায়দার আলী।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।