জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : আবেগমাখা কণ্ঠের আবৃত্তিতে আগেও বাহবা পেয়েছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মেয়ে শুভ্রা চক্রবর্তী। এজন্য নিজের স্কুল-কলেজ থেকেও অসংখ্যবার পেয়েছেন স্বীকৃতি। মিলেছে পুরস্কার। এবার পেলেন আরও বড় স্বীকৃতি। একেবারে দেশ সেরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় আবৃত্তিতে সারা দেশে তৃতীয় হয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার মেয়ে শুভ্রা চক্রবর্তী। এর আগে ২০২২ সালের শিক্ষা সপ্তাহের আয়োজনেও রচনা প্রতিযোগিতায় সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি। দু্ইবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া চট্টগ্রাম কলেজের “বাংলা” বিভাগে অধ্যয়নরত শুভ্রা চক্রবর্ত্তীর এমন অর্জনের খবর ফেসবুকে একটি পোস্টে প্রথম চাউর হয়। এরপর থেকেই অভিনন্দনের যেন জোয়ার শুরু হয়। নানা ক্ষুদে বার্তায় তাকে অভিনন্দন জানান বন্ধু-বান্ধব, আত্মিয়-স্বজন, স্কুল-কলেজ জীবনের শিক্ষকসহ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
জানা যায়, শুভ্রা চক্রবর্ত্তীর বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মোগলের হাট এলাকার কানুরখীল গ্রামে। তিনি রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম কলেজে “বাংলা” বিভাগে অধ্যয়নরত। স্কুল-কলেজের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া শুভ্রা স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি, আবৃত্তি ও গানের সাথে জড়িত। রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ ও উপজেলা প্রশাসন থেকেও অসংখ্যবার গান ও আবৃত্তিতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হবার পর সেখান থেকেও অসংখ্যবার পুরস্কারসহ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ ও ২০২০-এ জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। সর্বশেষ ২০২২-এ রচনা প্রতিযোগিতায় এবং ২০২৪-এ কবিতা আবৃত্তিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন শুভ্রা।
শুভ্রা চক্রবর্তী জানান, বইপড়া তাঁর প্রিয় নেশা, নিজের সংগ্রহে রয়েছে ৩ শতাধিক বই। তারই সুবাদে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম অঞ্চলেরও একজন সক্রিয় সদস্য তিনি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ৬ বছর ধরে আবৃত্তির সাথে জড়িত। বর্তমানে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতেও আবৃত্তি প্রশিক্ষণার্থী তিনি।
শুভ্রা চক্রবর্তী স্বপ্ন দেখেন বিসিএস ক্যাডার হবার। জাতীয় জীবনে উন্নতির ক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষকতা পেশা বেছে নেবার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান বলে জানান৷
চাটগাঁ নিউজ/এসএ