নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েক অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এতে করে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে রোববার (১০ নভেম্বর) বরিশাল ও চট্টগ্রামে, সোমবার ও মঙ্গলবারে খুলনা,বরিশাল ও চট্টগ্রামের কয়েক জায়গায় হালকা অথবা বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নভেম্বর মাস বঙ্গোপসাগরের ঘূূর্ণিঝড়ের উর্বর মৌসুম। চলতি মাসেও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির অবস্থায় রয়েছে, তবে তা শ্রীলঙ্কার দিকে যেতে পারে। মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস ঘূর্ণিঝড়ের উর্বর মৌসুম। লঘুচাপটি গভীর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। গত অক্টোবর মাসেও বঙ্গোপসাগরে ‘দানা’ নামে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। এটি ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মাঝ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করেছিল।
নভেম্বর-ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের উর্বর সময়। এসময় বঙ্গোপসাগরে গ্রীষ্মের পর বর্ষার আগে (এপ্রিল-মে) ও বর্ষার পর শীতের আগে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৮৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে ৫৩৫টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। আর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে হয়েছে ২৭৫টি এবং এর মধ্যে শুধু নভেম্বরেই হয়েছে ১২৫টি ঘূর্ণিঝড়। শুধু ঘূর্ণিঝড়ই নয়, ১৮৯১ থেকে এ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে ৭০৮টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিম্নচাপের মধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে হয়েছে ১৮৭টি, এর মধ্যে অক্টোবরে হয়েছে ৫০টি, নভেম্বরে ১০৩টি ও ডিসেম্বরে ৩৪টি।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/জেএইচ