আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী ওয়াহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ এপ্রিল দুর্নীতি ও হয়রানির প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অফিস সহকারী ওয়াহিদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ওয়াহিদ চৌধুরী। যোগদানের পর তার নিজ বাড়ি হাইলধর ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসাবরক্ষক নিযুক্ত থাকার পরেও জোরপূর্বক পদটিও নিজের দখলে রেখেছেন। সরকারি যেকোন বিল থেকে ১০-২০ শতাংশ কর্তন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা কর্তন, টাকার বিনিময়ে এমএসআর টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দেওয়া, জরুরি বিভাগের জখমী রোগীদের টাকার বিনিময় সনদ প্রদান ও কর্মচারীদের সাথে অসৎ আচরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স গোলাম মাওলা জানান, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২১ সালে যোগদান করি। যোগদানের পর বেতন চালু করাসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা দেওয়ার নাম দিয়ে আমার থেকে টাকা নেন।ওয়াহিদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করেছে। মুখের দাড়ি নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এসব নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে চাইলে মন্ত্রীর বাড়ির ছেলে বলে হুমকি দেন তিনি।

আরেক ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট সাইদুন্নেছা বাবলী জানান, এখানে যোগদানের পর ওয়াহিদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। কোনো কাজ নিয়ে গেলে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। অফিস সহকারী হয়ে সবখানে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তার থেকে রেহাই পেতে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী জানান, অফিস সহকারী ওয়াহিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তিনি নারী স্টাফদের সাথে খারাপ আচরণ বেশি করে। এছাড়া ডাক্তারদেরকেও হয়রানি করে বেশি। এক ডাক্তারকে কষ্ট দিয়ে কান্না করিয়েছে।

অভিযোগের কথা অস্বীকার করে অফিস সহকারী ওয়াহিদ চৌধুরী জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র। অন্যজনের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা অসম্ভব। হিসাবরক্ষক পদটি খালি থাকায় আমাকে কাজ করতে হয়। আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকায় অনেকজন অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে পারছে না। তাই আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এসব ষড়যন্ত্রে নেমেছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মামুনুর রশিদ জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top