আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিতি থাকায় ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যানদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হলেন– বৈরাগ, বারশত, বারখাইন, আনোয়ারা সদর ও চাতরী ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রায়পুর, বরুমচড়া ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, আটটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এটির কার্যকর হবে।
এর আগে ২২ জানুয়ারি আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়করা।
জানা গেছে, অপসারিত চেয়ারম্যানরা ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে। তারা ইউনিয়ন পরিষদেও অনুপস্থিত। এতে পরিষদে জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান ভোটার হালনাগাদ করতে পরিষদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। এমনকি জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠে।
এদিকে, চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি বিএনপির মিছিলে হামলা মামলায় বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়। অন্যদিকে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, বারখাইন ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল শাকিল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীন শরীফ ও জুঁইদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিসের বিরুদ্ধেও রয়েছে সনদ বাণিজ্য, ভূমি দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ।