আনোয়ারায় সড়কে ধানের চারা রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ

আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর সরেঙ্গা ও ফকির পাড়ার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ এখন এলাকাবাসীর জন্য এক স্থায়ী দুর্ভোগে রূপ নিয়েছে।

দুই বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বড় বড় গর্তে ভরে গেছে, বৃষ্টির পানি জমে কাদামাটি হয়ে তৈরি হয়েছে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি। খুঁড়ে ফেলে রাখার জেরে ক্ষোভে সড়কের এসব গর্তে ধান গাছ রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ করছে এলাকাবাসী।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা এ অভিনব পদ্ধতিতে সড়কের এ সমস্যার প্রতিবাদ জানান। তাদের উদ্দেশ্য—স্থানীয় সরকার প্রশাসন, সড়ক বিভাগ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি), উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিনহাজ উদ্দিন রাকিব বলেন, উত্তর সরেঙ্গা হযরত আবদুস ছমদ শাহ সড়কটি বিগত দুই বছর ধরে খুঁড়ে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার।
এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে কিন্তু সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে স্কুলের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই কষ্ট পাচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত।

স্থানীয়রা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর সরেঙ্গা ও ফকির পাড়ার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার মানুষদের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। ২০২৩ সালের দিকে ঠিকাদার সড়কটি খুঁড়ে আর কোনো কাজ করেনি। এরপর থেকে সড়ক দিয়ে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি আর কাদায় ভরে যায় এ সড়কটি। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, কৃষকসহ সবার যাতায়াতের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

আনোয়ারা উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, রায়পুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সরেঙ্গা হযরত আবদুস সমদ শাহ সড়কটি সংস্কারের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে ২০২৩ সালে টেন্ডার পেয়ে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। ২ হাজার ৮৮ মিটার সড়কের মধ্যে ৮৫০ মিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ শেষ করলেও এখনও বাকি রয়েছে ১ হাজার ২৩৮ মিটার সড়কের কাজ।

জানতে চাইলে ঠিকাদার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বর্ষার কারণে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়া যাচ্ছে না। বর্ষা উন্নতি হলে সড়কের অবশিষ্ট অংশের কাজ শেষ করা হবে।

আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কের নির্মাণ কাজ করা যাচ্ছে না। এরমধ্যে ঠিকাদারের কাজটি বাতিল এবং জরিমানার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জদ/এমকেএন

Scroll to Top