আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শঙ্খ নদীর ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগে ২৫০ কেজি শুকনো বালু দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা অনুমানের উপর ভেজা বালু দিয়ে বস্তা ভরে সেলাই করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে বস্তা ভরা হলে বর্ষার সময়ে নদী তীর ভাঙার ঝুঁকি বাড়বে বলে স্থানীয়রা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার জুঁইদন্ডী ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী বাজার এলাকায় শঙ্খ নদীর বাঁধে বসানো জিও ব্যাগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিটি ব্যাগে ২৫০ কেজি শুকনো বালু দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা অনুমানের উপর ভেজা বালু দিয়ে বস্তা ভরছেন। প্রকল্পে নেই কোন মিটার স্কেল। আর এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরু ন্নবী। তবে এসব অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
রবিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি ভাঙন রোধ প্রকল্পে এখানে ১০০ মিটার জিও ব্যাগ বসানোর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যাগে ২৫০ কেজি বালি ভর্তি করে মোট ৮ হাজার ব্যাগ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুন্নবী কৃষিজমির পাশে কয়েকশত জিও ব্যাগে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ কেজি বালি ভরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানান।
বালু ভরাটের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মাঝি মোফাজ্জল মিয়া এ অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, কিছু ব্যাগে বালু কম দেওয়া হলেও এখন পরিমাণ মতো দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. এমরান হোসেন (৪৫) অভিযোগ করে বলেন, যে ব্যাগগুলো ডাম্পিং করেছে সেখানেও ব্যাগের অর্ধেক বালু দিয়েছে, সেখানে ১০০ থেকে ১৫০ কেজির বেশি হবে না। ইউপি সদস্য নুরুন্নবীর এসব অনিয়ম কাজে স্থানীয়রা কয়েকবার বাঁধাও দিয়েছে।
আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা আমিন শরীফ (৫০) বলেন, নদীতে ডাম্পিং করা প্রায় ২৫০০ জিও ব্যাগের সব গুলো অর্ধেক বালিতে ভরা। তাদের বলার পর এখন কিছু বাড়িয়ে দিচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধির এসব অনিয়ম কখনও কাম্য নয়।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নুরুন্নবী বলেন, আমি শুধু বালু সরবরাহ করছি। জিও ব্যাগে কি পরিমাণ বালু দিবে সেটা আমি জানিনা। এসব কাজ বাঁশখালীর লোকমান মাস্টার নামে এক ব্যক্তি পেয়েছেন। তার মাধ্যমে তিনি এসব করছেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজে কোন ধরণের অনিয়ম পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এমকেএন






