আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা উপজেলায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৯ জনসহ ৩৪ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপির ইমাম শরীফ প্র. খলিল নামে এক কর্মীর বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বারের দোকানের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন আগে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কে বা কারা দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়ে অপপ্রচার চালায়। তার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভা করেন। সভা শেষে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে অপরপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মারামারিতে মঞ্জুর গ্রুপের মো. বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার মো. নিজাম উদ্দিন, মো. আনিস, মো. আহমদ নুর, মো. শওকত ওসমান, মো. বেলাল, মো. এনাম ও মো. মিন্টুসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. নিজাম উদ্দিন মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরপক্ষে মো. ইমাম শরীফ প্র. খলিল (৪৭), স্ত্রী নুর বেগম (৩৫), ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (২৪), মিনু আকতার (৩০), সেলি আকতার (৩৫), হোসনে আরা বেগম (৪৫), আনঞ্জুমান আরা বেগম (৬০), নবী হোসেনের মেয়ে হিরা আকতার (১৬), মো. মনির (৩০), জসিম উদ্দিন (৩৫) গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মো. ইমাম শরীফ প্র. খলিল জানান, হামলাকারীরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ২ ভরি স্বর্ণাংকার লুট করে নিয়ে যায়। আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি নেতা মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউনুস ও আহমদ নুররা মিছিল নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এসময় বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে মারধর করে আমার ঘরের নারীসহ ৯ জনকে গুরুতর আহত করে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস জানান, দীর্ঘ সাড়ে পনের বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালে মামলা হামলা ও নির্যাতনের মধ্যে মাঠে ছিল এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী। বর্তমান জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ায় স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতার মধ্যে হিংসা জেগেছে। এতে মঞ্জুরের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার প্রতিবাদে সভা শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে খলিলের নেতৃত্বে তার পরিবারের নারীপুরুষ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসহ ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বরুমছড়া এলাকায় বিএনপির দু’গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসএ