আনোয়ারা প্রতিনিধি: আনোয়ারায় প্রাইভেট শিক্ষকের সঙ্গে ফোনের কথা বলার পরই শাহনাজ আকতার মিতু (১৪) নামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বিষপানের আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন এলাকার নিজের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী একই এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং পরৈকোড়া নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তবে নিহত শিক্ষার্থীর ফুফি মনোয়ারা বেগম (৪৫) বলেন, আমার ভাতিজি মামুন নামে এক যুবকের কাছে প্রাইভেট পড়ত। কিছুদিন ধরে তার এখানে পড়তে যাচ্ছে না, এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন ফোন করে। ফোনে অপরপ্রান্ত থেকে কি বলেছে সেটা আমরা জানিনা। ফোনে কথা বলার কিছুক্ষণপর মিতুকে অজ্ঞান অবস্থায় রুমে পাওয়া যায়। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে মা আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক মামুনুর রশীদদের কাছে এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর তার নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আত্মহত্যার খবর শুনেছি, এলাকার লোকজনও বিভিন্ন কথাবার্তা বলতেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানিনা।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, নিহত শিক্ষার্থী বিষপান করেছেন। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।