আনোয়ারায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষককে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

আনোয়ারা প্রতিনিধি : জেলার আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়া রুদুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্যকে জুতাপেটা ও জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।

আজ সোমবার (২০ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, শিশু ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক। কিন্তু অভিযোগের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ সকালে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় বিচার দাবি করে স্কুলটি ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর জুতার মালা পড়িয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঠনিকোটা গ্রামের অদির ভট্টাচার্যের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, আজ সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য (৫৪) বিভিন্ন সময় ধূমপান করে ক্লাসে প্রবেশ করে ভোক্তভোগী ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ধোয়া ছাড়াসহ শিক্ষার্থীটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গা হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। এসব ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত ১৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা জানান, সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আমার মেয়েকে যৌন হয়রানি করেন। এতে সে স্কুলে যেতে ভয় ও অনীহা প্রকাশ করে। পরে যৌন হয়রানির বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি।

গত ১৫ তারিখ অভিযোগ পেয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে গত ১৫ মে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। পরে বিষয়টি তদন্ত করতে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ট্রেনিংয়ে থাকায় তদন্ত করতে দেরি হচ্ছে। আজ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top