আনোয়ারা প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীরা চাইলে সব সম্ভব। তা আবারো প্রমাণ করেছে সম্প্রতি সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। এ আন্দোলনে পতন ঘটেছে সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। এর সাথে সরকার পতনে দেশের এ ক্লান্তি লগ্নে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ কর্মবিরতিতে গিয়েছে। এতে সড়কে ট্রাফিক সমস্যা বেড়েছে। তা দূর করতে সড়কে ট্রাফিক কাজে নেমে পড়েছে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ভূমিকায় মুগ্ধ জনসাধারণরা।
আজ বুধবার (৭ আগষ্ট) সকাল ৬টা থেকে আনোয়ারা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন শত শত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বাঁশি বাজিয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছে, কেউ কেউ উল্টো পথে আসা গাড়ি থামিয়ে সঠিক পথে সরিয়ে দিচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কে এলোমেলো ভাবে আসা গাড়িকে সোজা লাইনে করে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালককে আটকে দিয়ে দিচ্ছে সতর্ক, বৃদ্ধা পথচারীদেরকে হাত ধরে পারাপার, সড়কে ও আশপাশে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে শিক্ষার্থীরা।
এসব শিক্ষার্থীদের থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেশের স্বার্থে সড়কে নেমে পড়ে তারা। সকাল থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত সড়কে থাকবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় স্কুল শিক্ষার্থী ছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও রয়েছে।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা আমজাদুল হক ছোটন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে দেশের মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছি ছাত্ররা সব পারে। আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে স্বৈরাচার সরকার। কিন্তু দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে ট্রাফিক পুলিশেও সড়কে নেই। তাই আমরা শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক কাজে নেমে পড়েছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাব। সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি।
আরেক শিক্ষার্থী মেজবাহ উদ্দিন জানান, আমাদের থেকে ট্রাফিক পুলিশের মতো অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রথম একটু ভুল হলেও এখন সব ঠিক হয়েছে। এতে সড়কে তেমন যানজট নেই। বেপরোয়া গাড়ি চলাচলেরও সুযোগ দিচ্ছিনা। যেখানে অন্যায় দেখা যাচ্ছে সেখানে প্রথম বারের মতো সতর্ক করে দিচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে লেগে থাকব, ইনশাল্লাহ।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এআইকে