চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের খুলশিস্থ চিত্রভাষা গ্যালারিতে শনবিার (১ মার্চ) বিকাল ৪ টা থেকে উদ্বোধন হলো ‘আদার ওয়ে এরাউন্ড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
চিত্রভাষা গ্যালারির আয়োজনে প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৩ মার্চ রাত ৮টা পর্যন্ত। গত বছরের শেষদিকে ‘কনটেম্পোরারি ডকুমেন্টারি এপ্রোচ’ শিরোনামে দুইমাসব্যাপী একটি ফটোগ্রাফি কর্মশালার আয়োজন করেছিল চিত্রভাষা গ্যালারি।
উক্ত প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলিয়স ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক ব্রুনো লাক্রাম্প, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিকুর রহমান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর ডিন অব স্টুডেন্টস সুমন চ্যাটার্জি, দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক, কবি, গল্পকার আহমেদ মুনির এবং আলোকচিত্রী মইনুল আলম।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী নয়জন শিক্ষানবীশ হলেন ডা. মঞ্জুরুল করিম বিপ্লব, রাসেল চৌধুরী, জয়া বড়ুয়া, নার্গিস সীমা, ফাহিম হাসান আহাদ, শুভ দে, সাদিয়া মেহজাবিন, বাণীব্রত রয়, আরাফাত হোসেন হৃদয়। নয় জন আলোকচিত্রী তাদের মানসিক ও স্থানিক অবস্থান অনুযায়ী নিজেদের চারপাশ থেকে আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু নির্বাচন করেছেন।
সম্ভাবনাময় তরুণ এই আলোকচিত্রীদের বৈচিত্র্যময় ছবির জগতে আপনাদের স্বাগত জানাই। আলোকচিত্রের এই কর্মশালাটি আমরা ভবিষ্যতেও চালিয়ে নিতে চাই। চিত্রভাষা গ্যালারি ২০১৭ সাল থেকে আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গুণগত মান বজায় রেখে ব্যাতিক্রমী সব প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে যেতে। ‘আদার ওয়ে এরাউন্ড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি সকলের জন্যে উন্মুক্ত। সকলের সবান্ধব আমন্ত্রণ!
উদ্বোধনী পর্বে চিত্রভাষা গ্যালারির পরিচালক ও আলোকচিত্রী মইনুল আলম ভবিষ্যতেও এধরণের আরো কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। আমন্ত্রিত অতিথি আলিয়সঁ ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রধান ব্রুনো লাক্রাম্পে আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চিত্রভাষার সাথে আগামীতে আমরাও কাজ করতে চাই। এটা দারুণ যে,সংগঠনটি তরুণদেরকে উৎসাহিত করছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ আরো দেখতে চাই।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন-এর ডিন অব স্টুডেন্স (এক্টিং) সুমন চ্যাটার্জি বলেন, বর্তমানে তরুণদেরকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা খুব জরুরী। চিত্রভাষার আয়োজনকে সাধুনাদ জানাই। আমাদের একটি ফটোগ্রাফি ক্লাব আছে , আমরাও চাই ভবিষ্যতে একত্রিত হয়ে এমন কাজ করতে। আজকে যাদের কাজ প্রদর্শিত হয়েছে তারা ভিন্ন স্টোরি নিয়ে কাজ করেছে, এখানে প্রচুর বৈচিত্র্য একসাথে দেখার সুযোগ হচ্ছে। আশা করি তারাও আগামীতে আমাদেরকে আরো নতুন কাজ উপহার দিবে।
প্রশিক্ষক স্বনামধন্য আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহ বলেন, দু-মাস ব্যাপী এ যাত্রাটি আমাদের সকলের জন্যে দারুণ ছিল। আমি যথেষ্ট আনন্দিত তবে এটাই যেন শেষ না হয়। আমি দেখতে চাই আগামীতে তারা আরো ভালো কিছু করছে। প্রত্যেকের কাজই আপনাদেরকে বিমহিত করবে। প্রদর্শনীটির শেষ অব্দি সফলতা কামনা করি।