চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান খাল খনন ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে আগ্রাবাদের হোটেল এমব্রোশিয়ার বিপরীতে বিদ্যুৎ ভবনের সামনের অংশে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে যান তিনি।
এসময় মেয়র বলেন, ১৯৯৮ সালে নির্মিত এই বক্স কালভার্টটি তৎকালীন সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প ছিল, যেখানে ভবিষ্যতে পরিষ্কার-পরিচর্যার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এটি অব্যবহৃত এবং বন্ধ অবস্থায় ছিল। আমরা এখন লালমিয়া ছড়া, নাসিরখালসহ পুরো নেটওয়ার্ক খনন ও সংস্কারে হাত দিয়েছি।
মেয়র জানান, ইতোমধ্যে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করে পরিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ শেষ হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ বছর ১৯০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হলেও জলাবদ্ধতার মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি। সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, যার মাধ্যমে নগরের খাল-নালা পরিষ্কার অব্যাহত থাকবে।
এসময় ডা. শাহাদাত জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পে আগ্রাবাদের পুরনো বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে খাল খননের কাজ চলছে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত, কারণ এখানে বিষাক্ত গ্যাস ও গ্যাসলাইন রয়েছে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০টির বেশি নালা ও খাল পরিষ্কারের কাজ চসিক সম্পন্ন করেছে। ১৬০০ কিলোমিটার নালার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিতভাবে চলবে। তিনি সেনাবাহিনী, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খান, চসিক ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ