ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ শুক্রবার কোথাও দেখা যায়নি। ফলে আজ শনিবার (২৬ জুলাই) পবিত্র মুহাররম মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামীকাল রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভায় পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৫ সফর ১৪৪৭ হিজরি, ২০ আগস্ট, পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান, তথ্য অধিদফতর এর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম–সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নূরুল করিম, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ ফারুক, সরকারি মাদ্রাসা–ই–আলিয়ার অধ্যক্ষ ওবায়দুল হক, জমিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফার, দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা, মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দিন। ইসলামিক ঐতিহ্যে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, যা হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবার পালিত হয়। ফারসি ভাষায় ‘আখের’ অর্থ ‘শেষ’ এবং ‘চাহার সোম্বা’ অর্থ ‘বুধবার’। এই দিনে মুসলমানরা নবী মুহাম্মাদ (স.)-এর জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত স্মরণ করেন।
ইতিহাসে বর্ণিত আছে যে, এই দিনে নবী মুহাম্মাদ (স.) শেষবারের মতো একটি গুরুতর রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছিলেন। তাই মুসলমানরা প্রতি বছর দিনটি শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে পালন করেন, যা এক ধরনের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বিশ্বাসের প্রতীক।
এই দিনটি মুসলিমদের মধ্যে গভীর আধ্যাত্মিক মূল্য বহন করে, কারণ নবীর (স.) জীবন ও তাঁর শোকর আদায়ের মুহূর্তটি মুসলিম বিশ্বে পুণ্য ও আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করা হয়। মুসলমানরা দিনটি বিশেষ প্রার্থনা, দান এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে উদ্যাপন করেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ