আইপি জালিয়াতি মামলা: চট্টগ্রাম আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানি করা পণ্যের আইপি জালিয়াতি মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি দাবি করেছেন, সিএন্ডএফ মালিকের নির্দেশেই এই জালিয়াতি করেছেন তিনি।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি রাজীব দাশ ওরফে লিটন (৫১)। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাজীব দাশ পটিয়া উপজেলার কেলিশহর এলাকার মৃত চিত্ত রঞ্জন দাশের ছেলে। তিনি আরিফ ম্যারিটাইম ইন্টারন্যাশনাল সিএন্ডএফ লিমিটেডে জেটি সরকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পিবিআই জানায়, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ভারতের কলকাতা থেকে বন্ড সুবিধার আওতায় ৩০ হাজার প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার ও ৮২ হাজার লেদার বেল্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে আরিফ ম্যারিটাইম ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে আসামিরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করে নেয়। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ইপিজেড থানায় মামলা হয়।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রাজিব দাশ বলেছেন, সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক অরূপ কুমার সিংহ লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম পরিচালনার একপর্যায়ে বিদেশ চলে যান। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. ইব্রাহীম এবং তার সহযোগী মো. মিজানুর রহমান। তাদের নির্দেশেই আরেক আসামি মো. জসিমের কাছে পণ্যসমূহের ডেলিভারী ডকুমেন্ট পৌঁছে দেন তিনি। পাশাপাশি বন্দরের বিভিন্ন রিলিজ অর্ডার, জেটি চালান, ট্রাক চালানসহ কাগজপত্রে জেটি সরকার হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই মেট্রোর পরিদর্শক মর্জিনা আক্তার বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিল তিনজন। এরমধ্যে ইব্রাহীমকে অনেক আগেই আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। তবে তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। আর মিজানুর রহমানকে গত ৯ সেপ্টেম্বর আমরা গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজীব দাশকে গত ১৪ তারিখ নগরের আগ্রাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত রাজীব দাশসহ ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন তদন্তে আসামি হিসেবে চিহ্নিত।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top