নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতে এক নলা বন্দুক নিয়ে মোবাইলে সেলফি তুলে রেখেছিলেন রায়হান ফেরদৌস মোরশেদ। সেই সেলফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো অ্যাপসে আপলোড না দিলেও তিনি সেই ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। ডিলিট করার প্রয়োজন মনে করেননি। তবে কথায় বলে, ‘চোরের মনে পুলিশ-পুলিশ’।
রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে শাহ আমানত সেতু এলাকায় বাকলিয়া পুলিশের টহল দলের মুখোমুখি হলে রায়হান মোরশেদের আচরণ বদলে যায়। এতে সন্দেহ হলে তার পকেট তল্লাশি করে মোবাইল পরীক্ষা করলে সেখানে অস্ত্র হাতে সেলফি খুঁজে পায় পুলিশ। আটকের পর রায়হানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সাতকানিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
বাকলিয়া থানা পুলিশ জানায়, নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এসময় রায়হান ফেরদৌস মোরশেদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে তল্লাশি করে পুলিশ। তার পকেটে একটি কার্তুজ পাওয়া যায়। এসময় তিনি তার মোবাইল ফোনটি লুকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের আরও সন্দেহ হয়। মোবাইলে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র হাতে তার সেলফি পায় পুলিশ। অস্ত্রটি কার তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে এটি তার বলে স্বীকার করে রায়হান। অস্ত্রটি তার বাড়িতে আছে বলেও জানায়। রাতে সাতকানিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সাতকানিয়া থানার সাইরতলী দ্বীপের কুল গ্রামের আবদুল গণির ছেলে। ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে তার।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘নিয়মিত তল্লাশি চলাকালে তার পকেটে অব্যবহৃত কার্তুজ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে তার সম্মতি নিয়ে মোবাইল চেক করা হলে মোবাইলে অস্ত্র হাতে তার সেলফির ছবি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্রটি তার বলে স্বীকার করে। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক নলা একটি অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ